ভোজ্য তেলের লাগাম যেনো টেনে ধরে রাখা যাচ্ছে না। হু হু করে বাড়ছে এ নিত্যপ্রয়োজনীয় তেলের দাম। সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল পরিশোধনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম আট টাকা বাড়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

তিন সপ্তাহ পর ফের লিটারে ১২ টাকা করে দর বাড়ানোর প্রস্তাব জানাজানি হওয়ার পরই মুহূর্তের মধ্যেই বাজার থেকে খোলা সয়াবিন হাওয়া গেছে। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার অনুসন্ধান করে জানা যায়, বেশিরভাগ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল নেই। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ভোক্তারা বলছেন, দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জানাজানির সাথে সাথে ইচ্ছা করে ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল লুকিয়ে ফেলেছেন। বেশি দাম পাওয়ার জন্য তাদের এই ফন্দি। তবে খুচরা বিক্রেতারা জানান, দাম বাড়তে থাকায় খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।

এদিকে, পাইকারদের অভিযোগ, মিলাররা ইচ্ছা করে বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট সৃষ্টি করেছেন। কয়েকটি বড় আমদানিকারকের তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সে কারণে বাজারে খোলা তেলের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে একেবারে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন নয়। তেল পাওয়া যাচ্ছে, তবে দাম একটু বেশি বলে জানান বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মাওলা।

এদিকে ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, তেলের দাম বাড়ানোর জন্য ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই দাম কার্যকর হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম আজ বেড়েছে। বাড়তি দামের সেই তেল দেশে আসবে আরও দুই মাস পর। তাই এখনই দাম বাড়াতে হবে কেন?’ ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর দাবিকে অতিরিক্ত ‘দুষ্টামি’ বলছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।

 

কলমকথা / বিথী